রবিবার ০৫ মে ২০২৪
Online Edition

স্বৈরাচার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করুন - অধ্যাপক মুজিব

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়নে জামায়াতের আমীর ডা: শফিকুর রহমান সহ সকল নেতাকর্মী ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত সবাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান--- সংগ্রাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার অবৈধভাবে রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা ক্ষমতা দখল করেই জনগণের অধিকার হরণ করে এদেশে স্বৈরশাসন কয়েম করেছে। এমতাবস্থায় জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন ও সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অতীতেও আমরা স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এবারেও আমরা আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ। জনগণের এখন একটাই দাবি, স্বৈরাচার সরকারের পতন। ফলে এই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঈদুল আযহার পরে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। তারই জন্য আজকের সমাবেশ। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা যতদিন বেঁচে আছি কোন স্বৈরাচারে শাসন আমরা মেনে নেব না। এই স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার নাটক সাজিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে হত্যা করেছে। ফলে তাদের সাথে আপোষ করার তো কোন প্রশ্নই আসেনা। তিনি দেশবাসীকে ঈদুল আযহা পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রামের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। 

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে দেলওয়ার হোসেন ও কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আজ বিচারক আছে, আদালত আছে তবে ন্যায়বিচার নাই, আইনের শাসন নাই। আইনের শাসন থাকলে অনেক আগেই জামায়াতের বর্তমান শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামারা মুক্তি পেয়ে যেত। উচ্চ আদালত জামিন দেয় কিন্তু তা কার্যকর হয় না। জামিনের কাগজ পাওয়ার পরেও জেলখানা থেকে মুক্তি না দিয়ে তাদের আবার নতুন করে মামলা দিয়ে ন্যক্কারজনক ভাবে আটক রাখা হচ্ছে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ এই অবিচার ও নির্মমতার শিকার হচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিলো সরকার তাকে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে। তাহলে এই সব বিচারকের কোন মূল্যই বর্তমান সরকারের কাছে নেই তা তাদের কর্মকা-ে প্রমাণ হচ্ছে। আমরা আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সেলিম উদ্দিন, শাহজাহান চৌধুরী, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক সহ সকল নেতাকর্মীদের এবং আলেম ওলামাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, জনগণের কথা বলার অধিকার নেই, এমনকি মানুষের জান ও মালেরও কোনো নিরাপত্তা নেই। আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের দলীয় ক্যাডার বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গায়েবী মামলা দিয়ে দেশের জনগণকে অপরাধী বানানো হচ্ছে। দেশের সম্পদ ও মুদ্রা পাচার, ঋন কেলেংকারী, ব্যাংক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সরকার তার সামগ্রিক ব্যর্থতায় দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। এমতাবস্থায় জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা) প্রদর্শিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ইসলাম। শুধুমাত্র ইসলামই জনগণকে তার প্রকৃত নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এমতাবস্থায় দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ইসলামের সু-মহান আদর্শের ভিত্তিতে একটি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায়ের আন্দোলন থেকে জামায়াতে ইসলামীকে সরানো যাবে না। জামায়াতে ইসলামী এদেশের সকল রাজনৈতিক বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি চায়। জামায়াতে ইসলামীর আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত দুই মাস আগে রমজানে একটি ঘরোয়া ইফতার মাহফিল থেকে ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মু. সেলিম উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। সরকার ও প্রশাসন কতটা অন্ধ হয়ে গেছে তা তাদের জুলুম নির্যাতন ও অন্যায় কর্মকা-ের মাধ্যমে বুঝা যায়। বার বার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেও জামায়াত নেতৃবৃন্দ বাহির হতে পারছেন না। জেলগেট থেকেই নেতৃবৃন্দকে নতুন নতুন মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। বিস্ময়করভাবে নেতৃবৃন্দ জেলখানায় আটক থাকা অবস্থাতে সংঘটিত বাইরের ঘটনার মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এভাবে সরকার চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিচ্ছে। এদেশের জনগণ সরকারের বহু অন্যায় সহ্য করেছে তারা আর ঘরে বসে থাকবে না। এবার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।

গাইবান্ধা জেলা : জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জিলহজ্ব মাসের ১ম দশদিনের ইবাদতে জিহাদের সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। এই দশ দিন বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। আমাদের জীবনের সব দিক দিয়েই আল্লাহর প্রিয় গোলাম হতে হবে এবং রাসূল (সা) এর বাস্তব অনুসারী হতে হবে। আমরা যা শুনবো তা মানবো এটা ইসলামের দাবি। জীবনের পুরো সময় জুড়েই আল্লাহর ইবাদতে সময় দিতে হবে। সমাজের মন্দ কাজকে ভালো কাজ দিয়ে পরিবর্তন করতে হবে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে অন্যায়কে প্রতিহত করতে হবে। 

গতকাল গাইবান্ধা জেলা আমীর ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের সঞ্চালনায় জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জামায়াতের মত একটি হক্বপন্থী দলে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি, আল-হামদু লিল্লাহ। মাল ও জান দিয়ে ইক্বামাতে দ্বীনের কাজ করতে হবে। জীবন মানে সময়ের সমষ্টি। তাই যথাযথ সময় দানের মাধ্যমেই এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের জান ও মাল তো আল্লাহর নিকট বিক্রি হয়ে আছে। এই উপলব্ধি থেকেই সংগঠনকে সময় দিতে হবে। গাইবান্ধা জেলা ইসলামী আন্দোলনের ঊর্বর ভূমি। হক্ব আদায় করে এ ভূমিকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব আপনাদের। 

তিনি বলেন, কুরআনের আইন দেশে কায়েম না হলে যাকাত ভিত্তিক ও সুদমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না করে সরকার জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

তিনি আরো বলেন, কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এই উপলব্ধি থেকেই আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সাথে নিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। অথচ সেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতার মোহে এবং নিজেদের স্বার্থে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। ফলে হাসিনার দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। আমরা বলতে চাই, নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। আগামী সংসদ নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের তিনটি মৌলিক কাজ-দাওয়াত, সংগঠন ও প্রশিক্ষণ। এটি হলো কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ার আন্দোলন। মুমিনদের কুরআনে বর্ণিত গুণ অর্জন করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নির্ভীক হতে হবে। কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে। জনদরদি হতে হবে ও সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহাবুুবুর রহমান বেলাল, গাইবান্ধা জেলার সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার, জেলা নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল ওয়ারেছ ও অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা জহুরল হক সরকার, জেলা মজলিসে শূরা সদস্য সদ্য কারামুক্ত জননেতা মাওলানা নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি নোমান আব্দুল্লাহ ও সাবেক জেলা আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ) এর বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোফাখ্খারুল ইসলাম। দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা নায়েবে আমীর ডক্টর মুহাদ্দিস এনামুল হক। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদসহ উপজেলা আমীরগণ। 

শেরপুর জেলা : দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। এই দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করবে ইনশাআল্লাহ। 

গত শনিবার দিনব্যাপী শেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্সুয়ালি আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনে পরীক্ষা ছাড়া সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে মাল ও জানের কুরবানি অবশ্যম্ভাবী। জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এই পরীক্ষার অন্যতম উপাদান। আমাদেরকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর নজরানা পেশ করতে হবে। 

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন আল্লাহর সাহায্য। নিজেদেরকে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপযোগী করতে হবে এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে। আমাদেরকে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হিক্বমাহ অবলম্বন করে দাওয়াতি কাজ করে যেতে হবে। এ পথে যত কঠিন বাধাই আসুক না কেন, তা উপেক্ষা করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। ইসলামী আন্দোলন ভীরু-কাপুরুষদের জন্য নয়। কেবল ঈমানের বলে বলিয়ান শার্দুল মুজাহিদরাই বিজয়ের তাজে চুম্বন করতে পারে। 

শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি। 

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ